অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মানবাধিার কমিশন নিয়ে অনেকের বিরূপ প্রতিক্রিয়া থাকে, অনেকেই বলে এটি সরকারের নাকি রাষ্ট্রের। তবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সৃষ্টি হয়েছে সরকারের প্রচেষ্টায়। আর এই কমিশন রাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান যা পরিচালিত হয়ে থাকে রাষ্ট্রপতির দিক নির্দেশনায়। নিরপেক্ষতা বজায় থেকে সরকারের যেকোনো কার্যক্রমের ব্যত্যয় সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরাই জাতীয় মানধিকার কমিশনের কাজ।
সোমবার দুপুরে নীলফামারী জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং জেলার সুধীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। এ ছাড়াও তিনি বলেন, মানবাধিকার কমিশন মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলে। এ সময় সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে জেলার নানান সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
এ ছাড়াও জেলায় বাল্যবিবাহ্ রোধে সকলকে সোচ্চার সাথার কথা জানান মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। এমনকি মানবাধিকার কমিশনের নামে কিছু ভুঁইফোর সংগঠনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার গোলাম সবুর, সিভিল সার্জন ডা. হাসিবুর রহমান, পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, আইনজীবী, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনীতিবীদ, শিক্ষক মন্ডলীর সভাপতিসহ আরও অনেকে।
সভা শেষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি টিম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নীলফামারী জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
Leave a Reply